কুখ্যাত গাঙ্গচিল বাহিনীর অন্যতম দলনেতা পেশাদার ডাকাত, খুনি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রুহুল আমিন লেদুকে দীর্ঘ ১০ বছর পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ বিকালে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন হাউজবিল্ডিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ৫ টি ডাকাতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী রুহুল আমিন লেদু (৪৫)’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে সাভার মডেল থানাধীন আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাঙ্গচিল বাহিনীর; যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। সাভারের পানিবেষ্টিত বিস্তর এলাকাকে আস্তানা বানিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করায় এর নামকরণ হয় গাঙ্গচিল বাহিনী। তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে ব্যাপক পরিসরে একক অধিপত্য বিস্তার করেছিল এই বাহিনী।আনোয়ার হোসেন আনার নিহতের পর গাংচিল বাহিনী কয়েকটি গ্রুপে ভেঙ্গে গেলে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতে শুরু করে আসামী রুহুল আমিন লেদু। তার নেতৃত্বে এ গ্রুপের সদস্যরা আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকান্ড চালিয়েছে। ২০১২ সালে শাহ আলী থানার বশির উদ্দীন বসু হত্যা মামলায় আদালত আসামী লেদু’কে যাযবজ্জীবন সাজা প্রদান করে। আসামী রুহুল আমীন লেদু বশির হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততা সহ আরও ০৫ টি ডাকাতি মামলায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। হত্যাকান্ডের পরপরই সে আত্মগোপনে চলে যায়। ধৃত আসামী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে গত ১০ বছর ধরে ছদ্মবেশ ধারণ করে গাজীপুর, উত্তরা, টঙ্গী, বাড্ডা, রামপুরাসহ পূরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে আসছিল। এই সময় গ্রেফতারকৃত আসামী ক্রমাগত পেশা ও অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিলো। সর্বশেষ র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল উত্তরা পূর্ব থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply